স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের এনেস্থেসিওলজিস্ট ডা. মোল্লা আবিদুর রেজাকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মচারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনে নামলে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে তাদের শান্ত করে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ক্যামেরায় চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলার দৃশ্য ধারণ হয়েছে।
আক্রমণকারী মঈনুল ইসলাম হবিগঞ্জ শহরের ২নং পুল এলাকায় আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে। ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রয়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ১১টায় জরুরী বিভাগে চিকিৎসকের কক্ষে ১৫/২০ জন রোগী অপেক্ষমান ছিলেন। ডাঃ মোল্লা আবিদুর রেজা তাদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ এক যুবক এগিয়ে এসে কিছু একটা বলেই চিকিৎসককে রক্তচাপ মাপার যন্ত্র দিয়ে আঘাত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, মারপিটের কিছুক্ষণ আগে আক্রমণকারী যুবক তার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে চিকিৎসক একটি ইঞ্জেকশন পুশ করতে বলেন। তখন ওই যুবক ইঞ্জেকশন পুশ করতে অনিহা জানালে দুজনে তর্কাতর্কি হয়েছিল।
এদিকে, চিকিৎসকের উপর আক্রমণের এ ঘটনা হাসপাতালে প্রচার হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্যান্য চিকিৎসক ও কর্মচারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। তারা হাসপাতালে জরুরী বিভাগের গেট বন্ধ করে আন্দোলনে নামেন।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা আক্রমণকারীকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে বিকাল ৩টায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়।
২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মোমেন উদ্দিন চৌধুরী খোয়াইকে জানান, আক্রমণকারীর পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় হাসপাতালের ভিতরে অনুষ্ঠিত বৈঠক থেকে সেনাবাহিনীর নিকট দাবি জানানো হয়, হাসপাতালের অভ্যন্তরে স্থায়ীভাবে পুলিশ অথবা আনসার দ্বারা নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ইমাম খোয়াইকে বলেন, ‘আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে হাসপাতালে সেবাদান শুরুর ব্যবস্থা করেছি। পরবর্তীতে স্থায়ী সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিগগিরই আক্রমণকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’