আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ওঠেছে। তারা সরকারি ফি’র বাইরে অতিরিক্ত টাকা না পেলে মানুষের কাজ করে দেন না বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানান, কর্মকর্তারা খাজনা আদায়ের ক্ষেত্রে অনেকগুণ বেশি টাকা নিয়ে সেবাগ্রহীতাকে রসিদ দিচ্ছেন সরকার নির্ধারিত টাকার পরিমাণ উল্লেখ করে।
জামাল উদ্দিন নামে একজন জানান, তিনি গত ১৭ আগস্ট কাকাইলছেও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জমির খাজনা পরিশোধ করতে যান। সেখানে কর্তব্যরত অফিস সহায়ক পলাশ চক্রবর্ত্তী এ কাজের জন্য তার নিকট ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। দর কষাকষি করে ১০ হাজার টাকা দিয়ে খাজনা পরিশোধের সুযোগ পান। পরবর্তীতে সরকারি নির্ধারিত ১৪৪ টাকার খাজনা রশিদ ধরিয়ে দেওয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার শরীফ পেশোয়ার নামে এক ব্যক্তি এ কার্যালয়ের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। এতে তিনি জানান, পলাশ চক্রবর্তী গত ১৯ আগস্ট আব্দুল মোতালিব মিয়া নামে একজনের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে রশিদে ২৩০ টাকা উল্লেখ করেন।
মাহতাবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাউছার খোয়াইকে জানান, তাঁর ১৪ শতাংশ জমির খাজনা দেওয়ার জন্য গেল জুনে ভূমি অফিসে গিয়েছিলেন। তহশিলদার তার নিকট ১২ হাজার টাকা দাবি করলে ফিরে আসেন। জুলাই মাসে গেলেও ২৫ হাজার টাকা দাবি করেন তহশিলদার।
শওকত নামে আরেকজন ফেসুবকে পোস্ট করেনÑ ‘২০০ টাকার কাজ, আমার বাবার কাছে ১০ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। কাজেও ভুল করা হয়; ভুল সংশোধন করতে আরও টাকা প্রয়োজন।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য নিতে কাকাইলছেও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্ত পলাশ চক্রবর্তী কর্মস্থল ত্যাগ করেন। পরে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কাকাইলছেও ইউনিয়নের তহশিলদার আবেদ আলী জানান, তিনি সদ্য এই কার্যালয়ে যোগদান করেছেন। এখন পর্যন্ত আইডি পাননি।
যোগাযোগ করা হলে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুজিবুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকাতির মতো অবস্থার কোন সুযোগ নেই। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’