আলাউদ্দিন আল রনি, মাধবপুর থেকে ॥ কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজানের পানিতে মাধবপুরে সোনাই নদীর তীরবর্তী মাঠে রোপা আমন ও সব্জি জমি তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মৎস্য খামারের মাছও বানের জলে ভেসে যাচ্ছে।
গতকাল বুধবার সকালে জগদীশপুর তেমুনিয়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়ক ডুবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া যমুনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও সায়হাম গ্রুপের কয়েকটি কারখানায় পানি ঢুকে পড়ায় শিল্পপ্রতিষ্ঠান দুটি কয়েক ঘন্টার জন্য শাটডাউন ঘোষণা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, এক সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ভারতের পশ্চিম ত্রিপুরা থেকে উৎপত্তি হওয়া সোনাই নদীতে ব্যাপকভাবে পানি বাড়ছে। নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত কুটানিয়া, দীঘিরপাড় ও সুলতানপুর এলাকায় বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। ফলে রোপা আমন, সব্জির জমি প্লাবিত হয়েছে ও মৎস্য খামার থেকে মাছ ভেসে যাচ্ছে।
আন্দিউড়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য সাদেক মিয়া জানান, তিনদিনের বৃষ্টিতে সোনাই নদীর বাঁধ উপচে আন্দিউড়া, হাড়িয়া, মীরনগর, জগদীশপুর, বড়ধলিয়া কুটানিয়া, দীঘিরপাড় ও সুলতানপুর, মুরাদপুর, বারচান্দুরা গ্রামে পানি ঢুকেছে।
শাহজাহানপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মোঃ আলফাজ মিয়া জানান, বানের পানিতে তাঁর পুকুর থেকে কয়েক লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজিব সরকার খোয়াইকে জানান, বন্যায় ১২৫ হেক্টর রোপা আমন এবং ৬০ হেক্টর জমির সব্জি বিনষ্ট হয়েছে।
মৎস কর্মকর্তা আবু আসাদ ফরিদুল হক জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণে অনেক মৎস্য খামারির মাছ ভেসে গেছে। খামারীরা তাঁদের মাছ ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
যোগাযোগ করা হলে উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ কর্মকর্তা নূর মামুন জানান, অবিরাম বর্ষণে অনেকের কাঁচা ঘরবাড়ি মাটিতে ধ্বসে পড়েছে ও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুরমা, নোয়াপাড়া ও জগদীশপুর চা বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কাও আছে।