স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মোস্তাক আহমেদ নামে একজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। গতকাল বুধবার মামলাটি এফআইআরভুক্ত হয়েছে বলে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল আলম খোয়াইকে জানান। আগের দিন হবিগঞ্জ শহরে উমেদনগর এলাকার লুৎফুর রহমানের ছেলে বাদী হয়ে থানায় এজাহার দিয়েছিলেন।
মামলায় এজাহারনামীয় আসামীদের মধ্যে রয়েছেনÑ সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ আবু জাহির, জেলা যুবলীগ সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, বন্দুকধারী আওয়ামী লীগ নেতা বানিয়াচংয়ের মোঃ শাহনেওয়াজ, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মুশফিউল আলম আজাদ, সাবেক মেয়র মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সামছুল হক, সাবেক এমপি আবু জাহির এর ছেলে ইফাত জামিল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, ইকবাল হোসেন খান, জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈন উদ্দিন চৌধুরী সুমনসহ ১১১ জন। এছাড়া আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা জুমার নামাজের পর হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদের সামনে অবস্থান নেন। পরে তাঁরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। টাউন হল এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় ছিলেন। শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক সংসদ সদস্য আবু জাহিরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। এ সময় মোস্তাক আহমেদ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।