বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছেন বন্যা দুর্গতরা

শেষ পাতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খোয়াই নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন চুনারুঘাট উপজেলার লোকজন। লোকজন গত বুধবার দিবাগত রাতভর বাঁধের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করেন।
এদিকেÑ গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা পয়েন্টে খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ২৭৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। উপজেলার রাজারবাজার ও নালমুখ এলাকা দিয়ে বাঁধ উঁপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।
রাজারবাজার উচ্চ বিদ্যালয়, রাজারবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও রাজার বাজারের দোকানপাটে হাটু পরিমাণ পানি উঠেছে। এতে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বর্ষণ ও উজানের পানিতে চুনারুঘাট উপজেলায় ৪০টিরও বেশি গ্রামে আউশ ধানের জমি তলিয়ে গেছে। বদ্ধ জলাশয়ের মাছ ভেসে যাচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। এক হাজার মানুষ দুটি আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে ওঠেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, বৃষ্টি কিছুটা কমলেও ত্রিপুরার পানিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। আজ থেকে পানি কমে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল খোয়াইকে জানান, ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় চুনারুঘাটে ১২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত। লোকজন যেন সেখানে আশ্রয় নেন সেজন্য মাইকিং করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *