পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নিকট হবিগঞ্জের খোয়াই, পুরাতন খোয়াই, সুতাং নদী, পুকুর-জলাশয় রক্ষা, টিলা-পাহাড় কাটা, অপরিকল্পিত বালু মাটি উত্তোলন বন্ধ ও শিল্পদূষণ থেকে হবিগঞ্জকে রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার এর একটি প্রতিনিধি দল গতকাল শুক্রবার দুপুরে হবিগঞ্জ সার্কিট হাউজে উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি তাঁর হাতে তুলে দেন।
সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে হবিগঞ্জ শহর তথা পুরো জেলা মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন। খোয়াই নদীতে চলমান বান-বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি উল্লেখ করে জানানো হয় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে খোয়াই নদী ফুলে ফেঁপে ওঠলে নদী পাড়ে ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙন মানেই হাজার হাজার একর জমির ফসলহানি আর লাখো মানুষের দুর্ভোগ। মানুষজনকে আতঙ্কে উৎকণ্ঠায় থাকতে হয়। নদীটি দ্রুত খননের জন্য দাবি জানানো হয় এতে।
প্রতিনিধি দল শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা পুরাতন খোয়াই নদীর বর্তমান চিত্র তুলে ধরে নদী থেকে সকল প্রকার দখল উচ্ছেদের দাবি জানান।
হবিগঞ্জ অঞ্চলে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা কলকারখানার দূষণে সুতাং নদীসহ অন্যান্য খাল-জলাশয় চরম পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। এছাড়া পুকুর-জলাশয় দখল-ভরাট, পাহাড় টিলা ধ্বংস, কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদী, পাহাড়ি ছড়া ও কৃষিজমি থেকে মাটি বালু খেকোদের আগ্রাসনে পরিবেশ ও প্রকৃতির বিপর্যয় উপদেষ্টার নজরে এনে পরিবেশ বিপর্যয় থেকে এই অঞ্চলকে রক্ষা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় প্রতিনিধি দল।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রতিনিধি দলের কাছ থেকে পরিবেশ বিষয়ক সমস্যাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং প্রতিকারের আশ্বাস দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাপা হবিগঞ্জের সভাপতি অধ্যাপক মোঃ ইকরামুল ওয়াদুদ, সহ সভাপতি মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, তাহমিনা বেগম গিনি, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও বাপা হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, ট্রেজারার হাফিজুর রহমান নিয়ন ও নির্বাহী সদস্য সোয়েব চৌধুরী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি