হবিগঞ্জের হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন

শেষ পাতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লেস্টার সিটির বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হবিগঞ্জের হামজা চৌধুরী বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন গত জুন মাসে। লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে তাঁর পাসপোর্ট এসে গিয়েছিল মাসখানেক আগেই। কিন্তু লেস্টার সিটির হয়ে প্রাক মৌসুম প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকার কারণে বাংলাদেশি পাসপোর্টটি গ্রহণ করতে পারছিলেন না হামজা। অবশেষে গত শুক্রবার হামজার পক্ষে পাসপোর্টটি গ্রহণ করেছেন তাঁর মা রাফিয়া চৌধুরী। এ খবর নিশ্চিত করেছেন হামজা চৌধুরীর বাবা মোরশেদ দেওয়ান। তিনি বলেছেন, ‘লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে গিয়ে হামজার পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন তার মা রাফিয়া চৌধুরী। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয়ে গেছে, হামজা ওর ক্লাব লেস্টার সিটিতে এখন ব্যস্ত। তাই সে যেতে পারেনি।’
হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও (বাফুফে) হামজাকে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে খেলানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হামজার বাংলাদেশি পাসপোর্ট করানো। এখন ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) অনুমতির প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর লাগবে তাঁর ক্লাব লেস্টার সিটির অনুমতি।
হামজাকে সেপ্টেম্বর উইন্ডোতেই বাংলাদেশের জার্সিতে খেলানো যায় কি না, সে চেষ্টা চালিয়েছে বাফুফে। কয়েক দিন আগে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন জানিয়েছিলেন, সময়ের স্বল্পতার কারণে সেপ্টেম্বরে হামজাকে খেলানো সম্ভব না হলেও নভেম্বর উইন্ডোতে বাংলাদেশের হয়ে তাঁর খেলার সম্ভাবনা প্রবল।
দেশের স্মৃতি:
ছোটবেলায় হামজা হবিগঞ্জের বাহুবলে নিজ গ্রামে আসতেন, সেসময়কার কথা মনে আছে তাঁর।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমি বাংলাদেশে যা খুশি তা করতে পারতাম, রাত ১০টায় ছোট ছোট বাচ্চারা ঘুরে বেড়াতো, আমি বাংলা বলতে পারি, এটা জেনে মানুষ আসলেই বেশ অবাক হতো।” প্রতি বছরেই হামজা বাংলাদেশে আসতেন, দুই বা তিন সপ্তাহ থাকা হতো।
“আমার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে আমি অবগত, আমি আবার যেতে পারলে ভালো লাগতো, এটা আমাকে আরো বিনয়ী করে তোলে, আমি ইংল্যান্ডে থাকলে আমার মধ্যে কিছু ব্যাপার কাজ করতে পারে, কিন্তু পৃথিবীর নানা প্রান্ত যেভাবে সংযুক্ত হয় সেটা আসলেই বিনয়ী করে তোলে।”

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *