স্টাফ রিপোর্টার ॥ খোয়াই ও পুরাতন খোয়াই নদীর বাতিল হয়ে যাওয়া দুই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা চালানোর আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনের (বিইআরসি) নবাগত চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।
তিনি গতকাল সোমবার হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে ‘খোয়াই অববাহিকায় বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণ ও করণীয়’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খোয়াই নদীর প্রসঙ্গ টানেন।
এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য খোয়াই নদী খনন, শহর রক্ষাবাঁধ মেরামত, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও সৌন্দর্য্য বর্ধনসহ ইত্যাদি।
প্রসঙ্গত, হবিগঞ্জে খোয়াই ও পুরাতন খোয়াইসহ ৮টি ছোটবড় নদী ও অর্ধশতাধিক সরকারি জলাশয় দখল করে রেখেছে ৬শ’ প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনে এসব দখলদারের তালিকা থাকলেও তাঁদের উচ্ছেদ না করায় সরকারের সম্পদ দখলের পরিধি দিনদিন বেড়েই যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে হবিগঞ্জের সন্তান জালাল আহমেদ আরও বলেন, সিএস ও আরএস ম্যাপ দেখে নদীর অবস্থান নির্ণয় করে কারা নদীর ভিতরে ও কারা বাইরে আছে তার তালিকা হবে। অনেকে নিজের নাম কাটাতে নদীর জায়গা ছেড়ে দিবে। নদীতে যেন কেউ ময়লা না ফেলে তার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলকভাবে অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে খোয়াই নদীকে শহর থেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম। নদী সরে গেলেও সমস্যা কমেনি। যারা নদীর বালু মহাল ইজারা নেন, তারা রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী। ফলে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। পুরাতন খোয়াইকে দখলদারমুক্ত করতে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টার। পরিবেশ আন্দোলন কর্মী তাহমিনা বেগম গিনির সভাপতিত্বে এবং খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেলের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন পুলিশের ডিআইজি এজাজ আহমেদ, ডেপুটি এ্যাটর্নী জেনারেল ফয়েজ আহমেদ, বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইকরামুল ওয়াদুদ, সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহানারা খাতুন, সাবেক অধ্যক্ষ ইলিয়াছ বখত চৌধুরী জালাল, প্রেসক্লাব সভাপতি রাসেল চৌধুরী, সাবেক সভাপতি শোয়েব চৌধুরী, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রুহুল হাসান শরীফ প্রমুখ।