স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাহুবল উপজেলায় মুঠোফোনের টিকটক ভিডিও নিয়ে দুই ব্যক্তিতে কথা কাটাকাটির জেরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে এগারো ঘন্টা সংঘর্ষ করেছে বিশ গ্রামবাসী। এতে পুলিশসহ তিন শতাধিক লোক আহত হয়েছে।
উপজেলার লামাতাশী ও বানিয়াগাঁও গ্রামবাসীর নেতৃত্বে গতকাল সকাল মঙ্গলবার ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত দু’দফায় সংঘর্ষ হয়। একই স্থানে আগেরদিন সংঘর্ষ হয়েছিল রাত ৭টা থেকে ১২টা পর্যন্ত।
সেনাবাহিনী, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার আলেম-উলামাগণের হস্তক্ষেপে গতকালের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় টিকটক ভিডিও নিয়ে লামাতাশি গ্রামের আলফু মিয়া ও বানিয়াগাঁও গ্রামের আল আমিনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এনিয়ে সালিশ বৈঠক বসেছিল; সেখানেও উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে রাত ৭টার দিকে উভয় গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। রাত ১২টা পর্যন্ত সংঘর্ষ থেমে থেমে চলে, দোকানপাটে ভাংচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাওয়া পর্যন্ত বাহুবল মডেল থানা পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক লোক এতে আহত হয়েছিলেন।
গভীর রাতে সংঘর্ষ থামে; কিন্তু গ্রামবাসীতে উত্তেজনা কমেনি। লোকজন রাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয় এবং গতকাল সকাল ৯টার দিকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলতে থাকা সংঘর্ষে যোগ দেয় প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষকারীরা টেটা, ফিকল, বল্লম, দা ও রামদাসহ নানারকম দেশীয় অস্ত্রের ব্যবহার করেছে। এতে মিরপুর বাজার ও আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
থেমে থেমে সংঘর্ষ চলতে থাকলে চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়াকত হাসান ও স্থানীয় আলেম-উলামাগণ ঘটনাস্থলে আসেন। ক্লান্ত সংঘর্ষকারীরা তাঁদের সম্মান দেখিয়ে শান্ত হয়।
খবর পেয়ে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মেজর ইসরাফ আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
বিকালে মেজর ইশরাফ খোয়াইকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। সেনাবাহিনী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে সমস্যা সমাধানে কাজ করছে।