স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- আওয়ামী লীগ বল প্রয়োগ করে গত ১৬ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল। তারা মানুষের ভোটের অধিকার ও বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল, আইনের শাসন ভুলুন্ঠিত হয়েছিল, মানুষের চলাফেরা চিন্তা চেতনা খর্ব হয়েছিল। সর্বোপরি দেশে এক অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল। জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়-দায়িত্ব ছিল না, কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে হবিগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে বন্যার্ত মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
জি কে গউছ বলেন- বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। গণতান্ত্রিকভাবে এই দেশ পরিচালিত হয়। জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনা করেন। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের সাংবিধানিক নিয়ম। কিন্তু শেখ হাসিনা জোর করে সমস্ত নিয়মকে মাটি চাপা দিলেন, দিনের ভোট রাতে নিয়ে গেলেন, অধীনস্ত দলকানা, অতিউৎসাহী প্রশাসনের লোক দিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসেছিলেন। তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলতেন শেখ হাসিনা পালায় না। কিন্তু সীমালঙ্ঘনকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না, তাই জনরুষের মুখে শেখ হাসিনা ঠিকই পালিয়েছে। আওয়ামী লীগের যে সকল নেতা পুলিশ পাহারায় বিএনপিকে গালিগালাজ করতেন, তাদের এখন অস্তিত্ব খোঁজে পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন- ছাত্র সমাজ যখনই রাস্তায় নেমেছে, সফলতা ছাড়া ঘরে ফিরে যায়নি। ৫২, ৬৯, ৭০, ৭১ ও ৯০ এর আন্দোলনে ছাত্র সমাজের হাত ধরেই সফলতা এসেছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি নিরপেক্ষ ভোটের আয়োজন করবেন। জনগণ আবারও লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। জনগণের ভালোবাসা নিয়ে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে, ইনশাআল্লাহ।
হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ চৌধুরীর পরিচালনায় ত্রাণ বিতরণী সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম ইসলাম তরফদার তনু, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মফিজুর রহমান বাচ্চু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজা আহমেদ রিপন, যুবদল নেতা মঞ্জু মিয়া, শেখ মামুন, ফখরুল ইসলাম বাবুল, এমদাদুল হক লিটন, কিম্মত আলী, সুহেল মিয়া, মঈনুদ্দিন খান, শাহেদ মিয়া, বাদল মিয়া, মাসুক মিয়া, মেরাজ মিয়া, জাকির মিয়া প্রমুখ।