স্টাফ রিপোর্টার, মাধবপুর থেকে ॥ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতন ও দেশ ছাড়ার পর থেকে ‘ছাত্রলীগ ক্যাডার’ দাবি করা মাধবপুর উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ আলী কর্মস্থলে না আসায় তাকে বদলি করা হয়েছে।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রাশেদুজ্জামান চৌধুরী খোয়াইকে বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আশরাফ আলীর কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরন ও অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আশরাফ আলীকে কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় বদলী করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, মোঃ আশরাফ আলী নিজেকে ‘ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও সংগঠনের ক্যাডার’ দাবি করতেন। সহকর্মীদের কেউ তাঁর অবাধ্য হলেই ‘বিএনপি-জামায়াতের লোক’ বলে আখ্যা দিতেন। মাধবপুর উপজেলা প্রশাসনে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলো থাকতো তাঁরই নিয়ন্ত্রণে।
আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে সবসময় কার্যালয়ে আড্ডা দিতেন। এ দলের বাইরের কোন জনপ্রতিনিধিকেই তিনি পাত্তা দিতেন না। কুণ্ঠাবোধ করতেন না মানুষকে লাঞ্ছিত করতেও।
তাঁর ব্যাপারে কথা হলে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম ফয়সাল বলেন, ‘সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ আলী কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাঁর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার রয়েছে। তিনি ২০২০ সালের আগস্ট মাস থেকে এ উপজেলায় কর্মরত।
মাধবপুর পৌরসভার কাউন্সিলর বাবুল হোসেন বলেন ‘মোঃ আশরাফ আলীর কাছ থেকে জনগণ সঠিকভাবে সেবা পেতো না। অনেককে তিনি লাঞ্ছিতও করেছেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইউপি সদস্য বলেন, ‘বয়স্ক ও বিধবা ভাতার তালিকা তৈরিতে সমাজসেবা কর্মকর্তা আশরাফ আওয়ামী পরিবারকে প্রাধান্য দিতে আমাদের বাধ্য করতেন।’