স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত ছয় গ্রামের মানুষ

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গ্রামীণ লোকদের স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের দরজায় তালা। হতাশ হয়ে ফিরছেন নারী-পুরুষ ও শিশু রোগীরা। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন। গতকাল সোমবার সকাল এগারোটায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকড়া ইউনিয়নে ভাটপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়। তখন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা দানকারী এ প্রতিষ্ঠানের আশপাশেও দায়িত্বরত কাউকে দেখা যায়নি।
সেবা না পেয়ে ফেরৎ যাওয়া লোকদের অভিযোগ শুধু গতকালই নয়; সপ্তাহে ছয়দিন খোলা থাকার কথা থাকলেও দুই থেকে তিনদিন খোলা পাওয়া যায় ক্লিনিকটি। তাও এক থেকে দুই ঘন্টার জন্য।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লোকড়া ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের মানুষ এ ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবায় নির্ভরশীল। নিয়মিত ক্লিনিকটি খোলা না থাকায় এসব গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সেবা না পেয়ে ফেরৎ যাওয়ার সময় আসমা বেগম নামে এক নারী জানান, দশ টাকা ইজিবাইক ভাড়া দিয়ে জ্বরের জন্য ওষুধ নিতে এসেছিলেন। কিন্তু ক্লিনিক বন্ধ থাকায় দেড় ঘন্টা অপেক্ষার পর তিনি ফিরে যাচ্ছেন।
ফরিদা বেগম জানান, তাঁর চার বছরের বাচ্চা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত। ওষুধ নিতে এসে দেখেন ক্লিনিক বন্ধ। পরে বাধ্য হয়ে ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে বাড়ি ফিরছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে কোন লোক নেই। আর সরকারের সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী যদি কোথাও সিএইচসিপি না থাকে তাহলে স্বাস্থ্য সহকারি ও পরিবার পরিকল্পনা সহকারির মাধ্যমে ছয় দিন সেবা নিশ্চিত করতে হবে। কোনভাবে ক্লিনিক বন্ধ রাখা যাবে না। কিন্তু স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সেটি করতে ব্যর্থ।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ দেলোওয়ার হোসেন চৌধুরী খোয়াইকে জানান, সিএইচসিপি পদ শূণ্য থাকার কারণে নিয়মিত ক্লিনিক খোলা রেখে সেবা প্রদান করা সম্ভব হয় না। যতদিন পর্যন্ত নতুন নিয়োগ না হবে ততদিন এভাবেই চলতে হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *