স্টাফ রিপোর্টার ॥ এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীর ফাইল প্রত্যাখ্যানকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল্লার সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়েছেন নতুন এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। কর্মকর্তার সাথে দুর্ব্যবহারও করেছেন তারা। এনিয়ে জেলার শিক্ষা বিভাগে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে।
গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের কলাপসেবল গেটের বাইরে একদল শিক্ষক এবং ভেতরে ছিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা। তখন তাদের মধ্যে উচ্চস্বরে বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। তবে শিক্ষকরা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন বলে অভিযোগ শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল্লাহ’র।
শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দেয়ার জন্য কিছুদিন পূর্বে অনলাইনে আবেদন চায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। হবিগঞ্জ জেলায় ফাইল জমা হয় ১৫৬টি। এ থেকে ৪০টি ফাইল প্রত্যাখ্যান করে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়। যার কয়েকটি গ্রেড পরিবর্তনের আবেদন।
বাদ পড়া ৪০টি ফাইলের মধ্যে রয়েছেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তরপ উচ্চ বিদ্যালয়, রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আশেরা উচ্চ বিদ্যালয়, বানিয়াচং উপজেলার রতœা উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, নবীগঞ্জের এনএসপি উচ্চ বিদ্যালয় ও আজমিরীগঞ্জের পশ্চিমভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ৪০টি ফাইলের শিক্ষকরা গত শুক্রবার দিবাগত রাত আটটায় শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। এ সময় কলাপসেবল গেটের ভেতরে থাকা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল্লার সাথে হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরে আশপাশের লোকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
কয়েকজন শিক্ষক দৈনিক খোয়াইকে জানান, প্রথমবার শিক্ষক-কর্মচারীদের আবেদন অগ্রায়ন করতে অধিকাংশ আবেদনকারী থেকে উৎকোচ গ্রহণ করেছেন শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল্লাহ। যাদের কাছ থেকে সুবিধা পাননি তাদের ফাইল প্রত্যাখ্যান করেছেন। এরপর গেল জুন মাসে ২য় বার আবেদনের সুযোগ পেলে এ সময়ও শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন তিনি। চলতি মাসে পুনরায় সুযোগ এলে এমপিও ও উচ্চতর গ্রেড মিলে প্রায় দুইশ’ শিক্ষক-কর্মচারী আবেদন করেন। ফাইলগুলো প্রত্যাখ্যান করার কোন কারণও শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে নেই বলেও দাবি শিক্ষকদের।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল্লাহ দৈনিক খোয়াইকে বলেন, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই যাদের ফাইলে ত্রুটি রয়েছে শুধুমাত্র তাদের ফাইলগুলো আঞ্চলিক অধিদপ্তরের নির্দেশনায় প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এনিয়েই শিক্ষকগণের সাথে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে রতœা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমএ তাহেরের নেতৃত্বে কয়েকজন অফিসে এসে হট্টগোল করেন। শিক্ষকরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন বলেও অভিযোগ করেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।