স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। তাঁর জীবনের আরাধ্য সাধনা ছিল পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করে একটি শোষণহীন, বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মনেপ্রাণে বিশ্বাস এবং নৈতিকতা ও মূল্যবোধে ধারণ করতে হবে। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কী চেয়ে ছিলেন, কীভাবে দেশটাকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করতে, সে জায়গায় আমাদের কাজ করতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি।
তিনি আরো বলেন, যে ব্যক্তি তার অস্তিত্বের উৎস, শিকড়ের ইতিহাস জানে না, সে ব্যক্তি দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করতে পারে না। এ জন্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে জাতির সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। জাতির জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছিলেন সদা সোচ্চার। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যখন দেশটির হাল ধরেন, তখন সারা দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত সংকটপূর্ণ। তিনি গরিব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করেছিলেন। সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থাকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে প্রতি উপজেলায় হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উত্তম রায়ের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মোত্তালিব, সহ সভাপতি সফর আলী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুকিত, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শিবলু মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান আনু মিয়া, জেলা কৃষক লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান কাওছারসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।