হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় “জেলা ছাত্রদল সভাপতি ইমরানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ” শিরোনামীয় সংবাদগুলো আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে আমি বালু ব্যবসার জন্য মোস্তাক খান রুমেলের কাছ থেকে মোট ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে তা আর ফেরত দেইনি। যা সম্পূর্ন মিথ্যা। প্রথমত আমি বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ছাত্র সংগঠন ঐতিহ্যবাহী হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি। আমি এখনও ছাত্র, আমি কোনো ব্যবসায়ী নই। সবাই জানে বিরোধী দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা হিসাবে বালু মহালের মতো ব্যবসা করার আমার কোনো সুযোগই নেই। যেখানে সারা দেশের বিএনপি ধ্যান ধারনার নেতাকর্মীরা সরকারের রোষানলে কোনঠাসা, নিয়মতান্ত্রিক ব্যবসা বানিজ্য করাও কঠিন হয়ে পড়েছে, সেখানে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হিসাবে আমার বালু মহালের ব্যবসা করা হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। অভিযোগকারী মোস্তাক খান চৌধুরী রুমেল জেলা ছাত্রদলের একজন সক্রিয় নেতা। সে নিজেও কোনো ব্যবসায়ী নয়। ব্যবসায়ী হলে ছাত্রদল থেকে তার আগেই ইস্তফা নেয়ার কথা। কোনো ব্যবসায়ী ছাত্রদল করতে পারে না। প্রশ্ন থেকে যায়, তাহলে কি রুমেল একজন ব্যবসায়ী হয়ে চলমান ছাত্র হিসাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ছাত্রদল করে আসছে? প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে- মোস্তাক খান রুমেল শহীদ জিয়ার সৈনিক হিসাবে ছাত্রদলের একনিষ্ঠ সক্রিয় নেতা। সে হবিগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক হওয়ার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক হওয়ার জন্য যে প্যানেল কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়েছিল তাতে তার নামও রয়েছে। রুমেল কওমী মাদ্রাসায় অধ্যয়নের সনদপত্র দাখিল করে। ছাত্রদলের নীতি অনুযায়ী কওমী মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত কোনো ছাত্র ছাত্রদলের কোনো পদে আসীন হতে পারে না। তার যথেষ্ট যোগ্যতা থাকার পরও কওমী মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করার কারণে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল তাকে পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক হিসাবে গ্রহণ যোগ্য হবে না বলে জানিয়ে দেয়। তাতে আমারও কোনো হাত ছিল না। ছাত্রদল নেতা রুমেল এর ধারনা আমি সক্রিয় ভূমিকা পালন করলে তাকে পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক হিসাবে মনোনিত করিয়ে আনতে পারতাম। তার সেই ধারনা যে সঠিক ছিল না, তা আমি অনেকবার তাকে বুঝিয়ে বলেছি। তাতে সে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। শুধু এই কারণে রুমেল আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। যারা আমরা রাজনীতি করি তারা সবাই জানি নিজ দলের মধ্যেই পদ পদবী নিয়ে কিছু না কিছু প্রতিদ্বন্দিতা থাকে। সেই প্রতিদ্বন্দিতার হিংস্র শিকার আমি। যার কারণে আমার বিরুদ্ধে রুমেল অভিযোগ দিয়েছে এবং পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করিয়ে ছাত্রদলের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের নেতা হিসাবে আমার মানহানি করেছে। আমি মোস্তাক খান রুমেলের অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং প্রকাশিত সংবাদগুলোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এমদাদুল হক ইমরান
সভাপতি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, হবিগঞ্জ জেলা