বন্যার পানি নেমে যাচ্ছে। কৃষকরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন নতুন ফসল আবাদের। তবে বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের মাঝে কৃষি নিয়ে আগ্রহের ভাটা রয়েছে নানান কারণে। এ সকল কারণ চিহ্নিত করে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় রোপা আমনের আবাদ শুরু হয়েছে। বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করে কৃষকরা জমিতে রোপন শুরু করেছেন। কিন্তু কৃষকরা এখনও যথাযথভাবে প্রণোদনা পাচ্ছে না। সরকার কৃষকদের জন্য যে প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে তার যথাযথ তথ্য এবং তদারকির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কিছু কৃষক। এ বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
আমনের বাইরেও শীতকালীন সব্জি আবাদেরও এখন সময়। এ বিষয়টিও তদারকি এবং নজরদারীর প্রয়োজন রয়েছে। করোনাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এক ইঞ্চি জমিও যাতে ফাঁকা না থাকে। এই আহবানকে সামনে রেখে করোনা ও বন্যার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সব্জি আবাদেও মনোনিবেশ করা প্রয়োজন।
বাজারে ধানের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন সব্জিরও দাম বেশি। কাঁচামরিচের দাম আকাশছোঁয়া। এরই মাঝে বাড়তে শুরু করেছে পেয়াজ এবং আদার দাম। এখন থেকেই যদি এ সকল বিষয়কে সামনে রেখে কৃষি পরিকল্পনা গ্রহণ না করা হয় তাহলে সব্জির দামের ভারসাম্য আসবে না বাজারে। অতীতে মসলা জাতীয় ফসল আবাদের জন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা চালু ছিল। পেয়াজ, আঁদাসহ মসলা জাতীয় ফসলের জন্য এখনও বিশেষ প্রণোদনা প্রয়োজন রয়েছে বলে আমরা মনে করি।