বাহার উদ্দিন, লাখাই থেকে ॥ সময়সীমা অতিক্রম হয়ে গেলেও লাখাই উপজেলায় অভ্যন্তরীণ বোরো ধান-চাউল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। গেল ৩১ আগস্ট পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ১২ মেট্রিক টন। কিন্তু এর বিপরীতে সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩২৬ মেট্রিক টন।
অনেক কৃষক আগ্রহী থাকলেও বিভিন্ন কারণে সরকারের নিকট ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রয় করতে পারেননি। অন্যদিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সংগ্রহ করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এ খবরে কৃষকদের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের আরো চাহিদা রয়েছে; তারপরও কেন আমরা বঞ্চিত হবো? এমন প্রশ্ন তুলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু কৃষক।
জানা গেছে, এবার সারাদেশের ন্যায় সরকারিভাবে অভ্যন্তরীন বোরো ধান-চাউল সংগ্রহে লটারী আহবান করে লাখাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এরপর গেল মে মাসে শুরু হয় সংগ্রহ কার্যক্রম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১ম পর্যায়ের জনপ্রতি ১ টন করে ধান নেয়ার লক্ষ্যে ১ হাজার ৫০৯ জন কৃষক লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় দফায় জনপ্রতি ২ টন করে আরো ৫০৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের জন্য কৃষক নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু ৩১ আগস্ট নির্দিষ্ট সময় সীমা পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩২৬ টন। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাকী আরো ৬৮৬ মেট্রিক টন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার যখন ন্যায্যমূল্যে ধান ক্রয়ের উদ্যোগ নেয় তখন কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ থাকে। অথচ সময়সীমা শেষে দেখা গেল লক্ষ্যমাত্রাই পূরণ হয়নি। এমন ঘটনার কারণ জানতে চান কৃষকগণ।
তবে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে লটারির বিজয়ীরা তাদের ধান এবং মিলারগণ গুদামে চাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনটা দাবি করছে খাদ্য বিভাগ।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশীষ কুমার সরকার দৈনিক খোয়াইকে বলেন, বাজারে ধানের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা গুদামে ধান দিতে চাচ্ছেন না। তাই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। মিলাররা চাল সরবরাহ করবে। সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও সরকারিভাবে আরও ১৫ দিন ধান চাল সংগ্রহ করা যাবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুর রহমান দৈনিক খোয়াইকে জানান, বন্যা ও করোনা প্রাদুর্ভাবে খোলাবাজারে ধানের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে কৃষকগণ ধান দিচ্ছেন না।