স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় বিলাশবহুল পাজারো জীপের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ চারজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম কাজল, তার সহকর্মী আঁখি আক্তার (২৩) ও চেয়ারম্যানের ফুফাতো ভাই ইউসুফ বিশ্বাসের ছেলে আরিফুল ইসলাম। নিহত আরেকজন উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসার ভাড়াটিয়া। তবে তার নাম পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনায় আহত একই এলাকার বাবুল মিয়ার মেয়ে নওরিন আক্তারের (২৪) অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইকবাল হোসেন দৈনিক খোয়াইকে জানিয়েছেন, নোয়াপাড়া এলাকায় ঢাকামুখী একটি পাজারো জিপের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মাধবপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গুরুতর আহত ৩ জনকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। জিপে থাকা পাঁচ জনের মধ্যে দুইজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুর্ঘটনা পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিসের একদল কর্মী ট্রাকের নিচে ঢুকে পড়া পাজেরো গাড়ি কেটে হতাহতদের উদ্ধার করেন।
বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মারা যাওয়ার বিষয়টি দৈনিক খোয়াইকে নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ তমিজুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, বিকেলে খবর পান উপজেলা চেয়ারম্যান মারা গেছেন। পরবর্তীতে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি থেকে চেয়ারম্যানের মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছেন মরদেহটি উপজেলা চেয়ারম্যানের।
স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া একজন পুরুষ উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকটাত্মীয়। তবে মারা যাওয়া নারীর সাথে উপজেলা চেয়ারম্যানের কি সম্পর্ক তা জানা যায়নি। সূত্রটি আরো জানায়, সিলেটে উপজেলা চেয়ারম্যান কাজলের কনস্ট্রাকশন সাইট রয়েছে। সেখান থেকেই বিলাশবহুল গাড়িতে করে অন্যদেরকে নিয়ে ঢাকা অভিমুখে যাচ্ছিলেন তিনি।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি তৌফিকুল ইসলাম জানান, নিহতদের মরদেহ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।