মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ গ্রীসের রাজধানী এথেন্সের আসপোগিরগো এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত নবীগঞ্জের দুইজনের মরদেহ দেশে আসার পর তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটায় কামড়াখাই ঈদগাহে আব্দুল মমিনের নামাজে জানাজা এবং দুপুর দুইটায় শাহীনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে তার নিজ বাড়িতে। পরে উভয়কে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। নামাজে জানাজায় আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নিয়েছেন।
গত রবিবার দিবাগত রাত ২টা ১০ মিনিটে গ্রীস থেকে একটি বিশেষ কার্গো ফ্লাইটযোগে দু’জনের মরদেহ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে। সেখান থেকে হস্তান্তরের পর গতকাল সকাল দশটায় মরদেহগুলো নবীগঞ্জে নিয়ে আসেন তাদের স্বজনরা।
মরদেহ দু’টি বাড়িতে এসে পৌঁছলে নিহতদের মা, বাবা, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরিবারে সুখ ফেরাতে রোজগারের আশা নিয়ে সাত সাগরের ওপারে গিয়েছিলেন দু’জন। অর্থের বদলে বাড়ি ফিরল তাদের বরফযুক্ত নিথর দেহ। তাও দীর্ঘ ঝক্কি-ঝামেলার পর। এ পরিস্থিতিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সরেজমিনে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সঙ্গে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেল এলাকাবাসীকেও।
দীর্ঘদিন ধরে গ্রীসের আসপোগিরগো এলাকায় একটি কন্টেইনারে পাহাড়াদার হিসেবে কর্মরত ছিলেন নবীগঞ্জের কামড়াখাই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল মমিন। সম্প্রতি মমিনের ওখানে কাজে যোগ দেন একই গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে শাহীন মিয়া (২৫)। গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা একজনের মাথায় এবং অন্যজনের গলায় গুলি করে হত্যা করে।
