আবুল কালাম আজাদ, চুনারুঘাট থেকে ॥ চুনারুঘাটের চান্দপুর চা বাগানে একটি কদম গাছে মানুষের ‘মুখের চিহ্ন’ এলাকায় কৌতুহলের জন্ম দিয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী কিছু মানুষ দেবতাতুল্য করে গাছটিকে পূজো করছেন। টাকা দিতেও শুরু করেছেন অনেকে।
দুইদিন ধরে এমন কান্ড চলছে বাগানের বাসিন্দা সুবাশ সরদারের বাড়িতে। পূজোর দায়িত্ব পালন করছেন তার স্ত্রী স্বপ্না মহালী। একজন শ্রীকৃষ্ণকে স্বপ্নে দেখেছেন, এমন দাবি করার পর এলাকাবাসীর আগ্রহ আরও বেড়ে গেছে। তারা সকাল-সন্ধ্যা এসে পূজো করছেন আর টাকাও জমা দিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেল, গাছের গোড়া থেকে প্রায় ৬ ফুট উচুতে নাক-মুখসহ মানুষের মুখের ন্যায় একটি চিহ্ন। দেখে মনে হয় ধারালো কিছু দিয়ে খোদাই করা হয়েছে। তবে বাড়ির মালিক দাবি করছেন; গাছের ওই স্থানে একটি ডাল ছিল। এটি কাটার কয়েকদিন পর হঠাৎ মুখ আকৃতি ভেসে উঠেছে।
এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হলে শতশত সনাতন ধর্মাবলম্বী এসে গাছের নিচে পূজো দিয়ে যাচ্ছেন। দান করছেন টাকাও। আশপাশের এলাকার লোকজন এই গাছ দেখার জন্য আসছেন দিনব্যাপি।
সুভাষ সর্দার জানান, গাছে একটি ডাল ছিল। ডালটি কাটার পর সেখানে কোন চিহ্ন ছিল না। তবে গত সোমবার তার ছেলে সজল মহালী ও স্ত্রী স্বপ্না মহালী এখানে মুখের চিহ্ন দেখতে পান। জানাজানি হলে ভীড় ভাড়তে থাকে সেখানে। এক পর্যায়ে গত বুধবার থেকে শুরু হয় পূজো, ভক্তি আর অর্থ দান।
জোয়াল ভাঙ্গা থেকে সেখানে আসা সৌমিত্র পাল জানান, চা শ্রমিকরা এটিকে কৃষ্ণের রূপ মনে করে পূজো অর্চনা দিচ্ছেন। সুভাষের স্ত্রী জয়ন্তী মহালী এখন এ গাছের সেবা ও পূজোর কাজ করছেন। তিনি জানান, আমি গতকাল রাতে স্বপ্নেও দেখেছি, শ্রী কৃষ্ণকে। তাই এ গাছের সেবার প্রতি তার মনযোগ আরো বেড়ে গেছে।
