মোঃ মামুন চৌধুরী ॥ শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে শত শত যাত্রীর পদচারণ হয়। এছাড়া জংশনে ছিন্নমূল মানুষের অবস্থান রয়েছে। এজন্য কমপক্ষে দুটি গভীর নলকূপ প্রয়োজন। কিন্তু এ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি গভীর নলকূপও নেই। বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনে দ্রুত দুইটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা প্রয়োজন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বক্তারা একথা বলেন।
তারা আরও বক্তারা বলেন, জংশন এলাকায় পথশিশুরা ড্যান্ডি নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে, এ শিশুরা একদিন ভয়ানক অপরাধী হয়ে উঠবে। এসব প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজরাতুন নাঈমের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল করতে হবে আরও জোরদার। তিনি বলেন, মাদক থেকে অপরাধের সৃষ্টি হয়। জুয়াড়িদের কোনভাবে ছাড় দেওয়া যাবে না। রেহাই দেওয়া যাবে না মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারী কাউকে। জুয়া ও মাদক প্রতিরোধে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন।
এতে আরও বক্তব্য রেখেছেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গাজীউর রহমান ইমরান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ মুক্তা আক্তার, শায়েস্তাগঞ্জ ট্রাফিক জোনের ইন্সপেক্টর মোঃ রমজান আলী, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার দাশ, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কনিক চন্দ্র শর্মা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অদিতি রায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মশিউর রহমান, শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ বুলবুল খান, উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজ মিয়া, স্টেশন মাস্টার আবুল খায়ের চৌধুরী, দাউদনগর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির (ব্যক্স) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান মাসুক, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল্লাহ সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান, রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) বাদশা আলম প্রামানিক, হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারি জেনারেল ম্যানেজার (সদস্য সেবা) মোহাম্মদ শামিউল আশরাফ, অধ্যক্ষ আজিজুল হাছান চৌধুরী, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অসিত রঞ্জন দাশ মন্টু, প্রধান শিক্ষক মোঃ আবিদুর রহমান, প্রধান শিক্ষক মোঃ নূরুল হক প্রমুখ।