বাহার উদ্দিন, লাখাই থেকে ॥ বলভদ্র সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে লাখাই উপজেলার মোড়াকরি ইউনিয়ন হয়ে গেল সিলেট বিভাগের দ্বিতীয় প্রবেশদ্বার। রাজধানীর সাথে তাদের যোগাযোগ এখন হাতের নাগালে। উন্নতির পথে মানুষের জীবনমানও। এ কারণে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা এটি।
এদিকে, মোড়াকরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হতে মরিয়া প্রার্থীরা। এরই মাঝে এলাকায় শোনা যাচ্ছে শালা-দুলাভাইসহ ৭ প্রতিদ্বন্দ্বির নাম। যদিও তোড়জোড় প্রচারণায় নেমে গেছেন তারা; তবে ভোটাররা এখনও নিরব ভূমিকায়। জুয়া আর মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সক্ষম এমন প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে চান তারা।
জানা গেছে, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রচারণায় নেমেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ফয়সাল, অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান এবং তার শ্যালক সালাহ উদ্দিন সুমন, ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম গোলাপ, যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আব্দুল কাদির, লুৎফুর রহমান ভূইয়া ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সামছুল ইসলাম।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ কেউ গোপনে আবার আবার অনেকে প্রকাশ্যেই চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচারণা। তবে মোড়াকরিসহ বিভিন্ন দোকানপাটকে কেন্দ্র করে কাজ করছেন অধিকাংশ প্রার্থী। সৎ ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জনগণকে দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিশ্রুতি।
তবে, এলাকার সচেতন ভোটাররা এখনও নিরব। যেহেতু মোড়াকরি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন; তাই এখানকার মানুষের জীবন মান উন্নয়ন আর অপরাধ দূর করতে স্বক্ষম এমন প্রার্থীকেই বেছে নিতে চান তারা।
দু’জন স্কুল শিক্ষকসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সচেতন ভোটার দৈনিক খোয়াইকে বলেন, যদিও উপজেলার সকল ইউনিয়ন থেকে মোড়াকরি অনেক এগিয়ে। তারপরও রয়েছে অনেক সমস্যা। জেলা তথা সিলেট বিভাগের প্রবেশদ্বার হওয়ায় এলাকায় রয়েছে মাদক চোরাকারবারী আর জুয়াড়িদের আনাগোনাও। এলাকার ছোট কয়েকটি রাস্তা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত। যেগুলো ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগেই মেরামতের কথা। এসব সমস্যার সমাধান এবং জুয়া ও মাদক মুক্ত ইউনিয়ন গড়তে যুব সমাজকে সাথে নিয়ে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করবেন, থাকবে সততা, নিষ্ঠা আর জবাবদিহিতা; এমন প্রার্থীকেই শেষ পর্যন্ত বেছে নেবেন বলেও জানালেন তারা।