গণমাধ্যম সবসময়ই জনগণের অভাব-অভিযোগ, সুখ-দুঃখ নিয়ে কথা বলে থাকে। পাশাপাশি সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে সমালোচনা করে থাকে। সারাদেশেই গণমাধ্যম হল জনগণের একটি মুক্ত মঞ্চ। এই মুক্ত মঞ্চে যদি সঠিকভাবে তথ্য-উপাত্য তুলে ধরা না হয় তবে তা যেমন জনগণের সঠিক মতামত প্রতিফলিত হয় না; তেমনি সরকার ও তার ভুল-ত্রুটি বুঝতে পারে না। ফলশ্রুতিতে একটি দেশের সঠিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। আজকের এই সময়ে যেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো খুবই শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে সেখানে আমরা দেখি বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। এই চেষ্টা কিন্তু চূড়ান্ত বিচারে ভাল ফলাফল বয়ে আনে না। অন্যদিকে গণমাধ্যমেরও দায়িত্বশীল এবং নিরপেক্ষতা যে কোন মূল্যে বজায় রাখা উচিত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য গণমাধ্যমের কিছু কিছু অংশ জনগণকে অনেক সময় সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়। কোন পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এক তরফা তথ্য প্রদান করে। এতে করে সরকার ও জনগণ বিভ্রান্ত হয়। আবার এটাও ঠিক; গণমাধ্যমকে অনেক সময় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করার কারণে গুজবের সৃষ্টি হয়। তখন সামাজিক মাধ্যমগুলো এই গুজবের ক্ষেত্র হয়ে উঠে। তাই আমরা আশা করবো গণমাধ্যম যেমনিভাবে সঠিক ও নিরপেক্ষ তথ্য প্রদান করবে তেমনিভাবে গণমাধ্যমকেও কোনভাবেই যেন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা না হয়। এতে জনগণ ও সরকার তথা দেশ সত্যিকারভাবে উপকৃত হবে। মনে রাখতে হবে জনগণের মঙ্গল করাই একটি সরকারের মূল উদ্দেশ্য।