বাহার উদ্দিন, লাখাই থেকে ॥ লাখাই বাজার থেকে বামৈ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সাব মারজেবল সড়কটি বর্ষায় পানির নিচে তলিয়ে যায়। এতে দশটি গ্রামের হাজারো মানুষ উপজেলা সদর থেকে কয়েক মাস বিচ্ছিন্ন থাকেন। তাই রাস্তাটি উচু করে পুনরায় স্থাপনের দাবি জানাচ্ছেন তারা।
জানা গেছে, শুকনো মৌসুমে এ সড়ক দিয়ে ১নং লাখাই ইউনিয়নের শিবপুর, সুজনপুর, আমানুল্লাহপুর, মাহমুদপুর, চিকনপুর, রুহিতনসী, স্বজনগ্রাম, সন্তোষপুর, কৃষ্ণপুর ও কামালপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। চলাচল রয়েছে কিশোরগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীরও।
অথচ সড়কটি বর্ষায় পানির নিচে থাকাকালীন নৌকা মানুষের প্রধান বাহন হয়ে উঠে। শুকনো মৌসুমে যানবাহনের ভাড়া থাকে ১০ থেকে ১৫ টাকা। অথচ বর্ষা আসলে মানুষকে নৌকাযোগে ৩০ টাকা ভাড়া গুণতে হচ্ছে। সময় অপচয় হয় এক ঘন্টারও বেশি।
স্থানীয়রা দৈনিক খোয়াইকে জানান, বর্ষাকালে স্কুল, কলেজ ও হাসপাতালগামী লোকজন এ রাস্তায় নিত্য দুর্ভোগে পড়েন। গর্ভবতী নারীদের হাসপাতালে যাওয়া নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়। সন্ধ্যার পর গন্তব্যস্থলে পৌঁছুতে নৌকাকে তিন থেকে পাঁচশ’ টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। দুর্ভোগ লাঘবের স্বার্থে রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
রুহিতনসী গ্রামের সুশীল চন্দ্র দাস জানান, বর্ষাকালে রাস্তাটি ডুবে গেলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নৌকা আমাদের একমাত্র অবলম্বন হয়ে যায়। সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারি না। অর্থ ও সময়ের ব্যাপক অপচয় হয়। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেছেন। এলাকার কয়েকজন বলেন, সংসদ সদস্য মোঃ আবু জাহিরের মাধ্যমে বলভদ্র নদীর উপর সেতু এবং প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। নানা উন্নয়নে অবহেলিত লাখাইয়ের চেহারা পাল্টে গেছে। ঢাকার সাথে এখন লাখাইবাসীর যোগাযোগ হাতের নাগালে আসায় ব্যবসা-বাণিজ্যেরও উন্নয়ন হয়েছে। এই রাস্তাটি দ্রুত উঁচু করে দেয়ার জন্য তারা সংসদ সদস্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।