সৈয়দ সালিক আহমেদ ॥ মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়ায় সিলেট বিভাগের প্রবেশমুখে নির্মাণ করা হয়েছে ‘হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন পর্যটন পার্ক’।
নান্দনিক এ পার্কে তুলে ধরা হয়েছে হবিগঞ্জ জেলার পর্যটন সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত। ফলে সিলেটের প্রবেশমুখে এসেই আকৃষ্ট হচ্ছেন পর্যটকরা এ জেলার প্রতি।
জেলা প্রশাসন জানায়, প্রায় ৬ শতক জায়গার উপর নির্মিত এই পার্কটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হোটেল হাইওয়ে ইন এর পাশে অবস্থিত।
জেলার কোন কোন জায়গায় কি ধরণের পর্যটনের ব্যবস্থা রয়েছে, সে সম্পর্কে এখানে তথ্য রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসহ দেশের দ্বিতীয় সোয়াম্প ফরেস্ট লক্ষ্মী বাউর, চা বাগান, শংকারপাশা শাহী জামে মসজিদ, কমলা রাণীর দিঘীসহ অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্রের বর্ণনা রয়েছে সেখানে। এসব নিয়ে ৯টি দৃষ্টিনন্দন স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রতিটি স্তম্ভে একেকটি এলাকার বর্ণনা রয়েছে। পর্যটকরা এখান থেকে সহজেই জানতে পারবেন কিভাবে তাঁরা দেখতে পারবেন হবিগঞ্জের দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্পটগুলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, এখানে পর্যটকদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। চারপাশে থাকা ফুলে ফুলে প্রজাপতি উড়ে বেড়াচ্ছে। ছায়া সুনিবীড় মনোমুগ্ধকর এক বৈচিত্রময় পরিবেশ এখানে তৈরী করা হয়েছে। কয়েকজন পর্যটক বলেন, “এই পর্যটন পার্কটির মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন তথ্য সহজে জানা যায়।”
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা জেলা আগত পর্যটক নার্গিস সুলতানা জানান, আমরা সিলেট যাব। এখানে হোটেলে গাড়ি যাত্রা বিরতি করেছে, এই ফাঁকে পর্যটন পার্কটি ঘুরে আসলাম। এক জায়গায় এতগুলো তথ্য জানতে পেরে বেশ ভাল লেগেছে, চমৎকারভাবে এক জায়গা থেকে জেলার সব তথ্য জানতে পেরেছি।
আবু বকর সিদ্দিক নামে এক পর্যটক জানান, কম জায়গার মধ্যে এত সুন্দর করে জেলার সকল তথ্য উপাত্ত জানতে পেরেছি। আমি এই জেলার বাসিন্দা হয়েও এত কিছু জানা ছিল না। এটা দেখে আমি কয়েকটা ছবি তুলেছি। সুন্দর পরিপাটি একটি জায়গা।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, “আমার একটি স্বপ্ন ছিল জেলায় একটি পর্যটন পার্ক তৈরীর করার। যার মাধ্যমে দেশে-বিদেশে হবিগঞ্জ জেলার পর্যটন শিল্পের আরো পরিচিতি বাড়বে। সম্ভাবনাময় এই জেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ কিছু নির্মল হাওয়া উপভোগ করতে আসবে। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ছেলে মেয়েকে নিয়ে কিছু ভাল সময় কাটাতে পারবে।”