স্মৃতিতে আব্বা

ভিতরের পাতা

শামীম আহছান ॥ আব্বাকে হারিয়েছি ৩০ বছর আগে। কিন্তু স্মৃতি এখনো এত তাজা যে মনে হয় আব্বা হয়ত কোথাও গেছেন মাত্র। তবে যখনই কোন সমস্যায় পড়ি তখনই আব্বাকে খুঁজি। কিন্তু পাই না। তখন মনে হয় ১৯৯০ সনের ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি আমাদের ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে গিয়েছেন। তিনি ভাই-বোনের মধ্যে সকলের ছোট হওয়া সত্ত্বেও মাত্র ৫৬ বছর বয়সেই জীবনের পাট চুকিয়ে ফেলেছেন। আব্বার জীবনটা যখন ভাল করে চিন্তা করি তখন অবাক হয়ে যাই কি করে প্রতিটি মুহুর্তকে তিনি অত্যন্ত সফলভাবে কাজে লাগিয়েছেন। একজন ¯েœহময় বন্ধুবৎসল পিতা, সফল ব্যবসায়ী, সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যা খুব কম মানুষের পক্ষেই সম্ভব হয়। আমি উনার বড় সন্তান হিসেবে অন্যান্য ছোট ভাই বোন থেকে একটু বেশী সঙ্গ পেয়েছি, এটা ভাবতে খুব গর্ব হয়। অন্যদিকে তার গুণাবলীর কিছুই আত্মস্থ করতে পারিনি এটা ভেবে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়। এত কর্মবীর একজন মানুষের সন্তান হয়ে অলস ও অকর্মণ্য হয়েছি যা ভেবে খুব লজ্জা পাই।
খুব ছোট্টবেলার স্মৃতি তেমন মনে নেই। তবে জন্মের পর প্রথম, যখন আম্মা আমাকে নিয়ে নানাবাড়ীতে বেড়াতে যান তখন আব্বা তার ডায়েরিতে লিখেছিলেন “শামীমকে খালেদা (আম্মার নাম) নিয়ে আজ মালঞ্চপুর চলে গেল। ট্রেনে তুলে দিয়ে বাসায় এসে খুব খালিখালি লাগছে। প্রথম সন্তানের অনুভূতিটা বোধ হয় অন্যরকম”। বড় হয়ে যখন আব্বার ডায়েরী থেকে লেখাটা পড়ছিলাম তখন কিছুটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। তখন আব্বা আম্মার বড় সন্তান হিসেবে একটু গর্ব-ই বোধ করেছিলাম। এরপর যখন ধীরে ধীরে বড় হলাম তখন আব্বার পরশ আরো বুঝতে পারলাম। রামচরণ, পিটিআই হয়ে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। প্রথমদিন আব্বা স্কুলে নিয়ে আসলেন।
আমাদের প্রতিবেশী অমল কাকুর বোন ডলি পিসি বড় হওয়ার পর আমাকে প্রায়ই বলতেন আজিজ দা তোমাদেরকে ছোট্ট বেলায় এত টিপটপ রাখতেন যেটি তখন অনেকের পক্ষেই সম্ভব ছিল না। অথচ সে সময় আব্বা বৃন্দাবন কলেজে চাকুরীর পাশাপাশি ব্যবসা মাত্র শুরু করেছেন। কিন্তু সে অবস্থার মধ্যেও সন্তানদের জন্য সর্বোচ্চটাই দিয়ে দিতেন। সেই সময়টাতে আব্বা ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে প্রচ- ব্যস্ত থাকতেন। প্রায়ই ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট যেতে হত। ঢাকা বা চিটাগাং যেতে আসতে বেশীরভাগ সময় আব্বা রাতের মেইল ট্রেন চড়তেন। বুঝার বয়স হওয়ার পর থেকেই দেখেছি ট্রেনে তিনি প্রথম শ্রেণীতে রিজার্ভ কূপেই যাতায়াত করতেন। তখন সিলেট থেকে ১ম শ্রেণীর রিজার্ভ কূপ থাকত। যদিও শায়েস্তাগঞ্জ থেকে ট্রেনে উঠতেন কিন্তু টিকিট সিলেট থেকেই রিজার্ভ হয়ে আসতো। তিনি সবসময় বলতেন যাতায়াত এবং খাওয়া-দাওয়া সবসময় ভালভাবে করবে। সেটা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মেনে চলেছেন।
বৃন্দাবন কলেজে চাকুরীর পাশাপাশি তিনি ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমে বিউটি ফুটওয়্যার, পরে শামীম ইলেক্ট্রনিক্স এবং সবশেষে আজিজ এন্ড কোং প্রতিষ্ঠা করে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফিলিপস এর এজেন্ট হিসেবে শামীম ইলেক্ট্রনিক্সকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেন। তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে ফিলিপস এর ৫ জন ডিলারের মধ্যে শামীম ইলেক্ট্রনিক্স ছিল অন্যতম। ১৯৬৫ এর যুদ্ধের সময় এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্রেতাদের হাতে রেডিও তুলে দেন। এখনো ঝাপসা মনে আছে বর্তমানে খোয়াই পত্রিকা অফিসের স্থানেই ছিল শামীম ইলেক্ট্রনিক্স’র দোকান। যুদ্ধের খবর শুনার জন্য তখন লাইন দিয়ে মানুষ রেডিও কিনত। ৬৫ সনের পর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন আজিজ এন্ড কোং। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্টেশনারী রমনা সিগারেট, হক ব্রাদার্স, তিব্বতসহ বড়বড় কোম্পানীর ডিস্ট্রিবিউটর ব্যবসা করেছেন। তাছাড়া লাহোরের বিখ্যাত কণৌজ আতর, জাপান থেকে এশিয়া বাইক সাইকেল, সিআই সীট (ঢেউটিন), ডানো, ফ্রিজিয়ানা প্রভৃতি টিনজাত দুধের আমদানীকারকও ছিল আজিজ এন্ড কোম্পানী। বিভিন্ন চা কোম্পানীর বাগানগুলোর সবধরণের ছাপার কাজ, ইলেকট্রিক্যাল পণ্য, অফিস স্টেশনারী সরবরাহ করেছেন আজিজ এন্ড কোম্পানীর মাধ্যমে। নিজে প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদারও ছিলেন বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের। এক পর্যায়ে ৭০ এর দশকের দিকে সুরমা কোল্ড স্টোরেজ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন শ্রীমঙ্গলের কোন এক জায়গায়। কিন্তু যোগ্য সহযোগীর অভাবে ঐ কাজে আর অগ্রসর হতে পারেননি। অবাক লাগে আজ থেকে ৫০ বছর আগে তিনি এত অগ্রসর চিন্তা কি করে করতে পেরেছিলেন। ব্যবসার পাশাপাশি সমাজের অবহেলিতদের নিয়ে তিনি সবসময় চিন্তা করতেন। আজকে হবিগঞ্জ “আনজুমানে মফিদুল” বেওয়ারিশ লাশ দাফন করে থাকে। অথচ তিনি আহছানিয়া মিশনের খাদেম হিসেবে নিজের টাকা দিয়ে প্রচুর বেওয়ারিশ লাশ দাফন করেছেন। তিনি অর্থাভাবে উচ্চ মাধ্যমিকের পর আর লেখাপড়া করতে পারেননি। এই কথাটা তিনি সবসময় মনে রাখতেন। প্রচুর গরীব ছেলে মেয়েদেরকে সাহায্য করেছেন তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে। হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় বিরাট ভূমিকা রেখেছিলেন। সাবেক এমপি মরহুম আবু লেইছ মুবিন চৌধুরী, সাবেক পৌর কমিশনার গোলাম মর্তুজার সাথে দিনের পর দিন ঘুরে বেড়িয়েছেন ছাত্রী সংগ্রহের কাজে। তাছাড়া তিনি যখন বৃন্দাবন কলেজে একাউন্টটেন্টের চাকুরী করতেন তখন প্রচুর ছাত্র-ছাত্রীর বেতনের অর্থ নিজে দিয়ে দিতেন। প্রথমেই বলেছি পরিবারের প্রতি তার দায়িত্ববোধের কথা। পরিবারের সীমানা শুধু নিজের স্ত্রী-সন্তানই ছিল না। দূরতম আত্মীয়ের যে কোন সমস্যায় তিনি এগিয়ে গেছেন অকাতরে। পুরান মুন্সেফীর বাসায় এমন কোন দিন বা বেলা ছিল না যেখানে অতিথি থাকত না। বোঝার বয়স থেকেই আমি দেখেছি দিনের বেশীর ভাগ সময় সময় আম্মার কাটত রান্না এবং মেহমানদারীতে। কোন আত্মীয় বা অনাত্মীয় বাসায় এসে না খেয়ে যেতে পারতেন না। আমাদের প্রতি তার সবসময়ের আদেশ ছিল মেহমানদের নাস্তা নিজের হাতে পরিবেশন করা। কোন অবস্থাতেই কাজের লোক দিয়ে নাস্তা পাঠানো যেত না। তাছাড়া মেহমানদেরকে বাসার গেইট পর্যন্ত সবসময় এগিয়ে দেওয়ার কথা আমাদের বলতেন। আব্বার ছাত্রজীবনের একটা সময় কেটেছে উমেদনগরে জায়গীর থেকে। উমেদনগরের খালেক দাদার বাড়ীতে তিনি জায়গীর থাকতেন। তাদের বাড়ীর প্রত্যেককে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ভালবেসেছেন। বন্ধু-বান্ধবের প্রতি ছিল আব্বার অফুরন্ত ভালবাসা। এডভোকেট আফতাবউদ্দিন আহমেদ, এডভোকেট আফছর আহমেদ, এডভোকেট আব্দুল হক প্রমুখ বন্ধুদের সঙ্গ উপভোগ করেছেন প্রাণভরে। প্রতিদিন তাদের সাথে অন্তত সকাল বিকাল কথা না বললে যেন পেটের ভাত হজম হতো না। তারাও আব্বাকে প্রাণভরে ভালবাসা দিয়েছেন। আহছানিয়া মিশনের সূত্রে আলহাজ্ব আব্দুল কদ্দুছ খান, আলহাজ্ব সোনাহর মিয়া, বদিউজ্জামান খানদের সাথে ছিল আত্মার সম্পর্ক। সকালে ঘুম থেকে উঠে একবার হলেও কদ্দুছ খান সাহেবের কাপড়ের গদিতে গিয়ে বসতেন। এ সমস্ত বন্ধু ও আত্মার সম্পর্ক মানুষদের সাথে গভীর ও নিবীড় সম্পর্ক রক্ষা করেছেন। মনে হয় না তাদের সাথে কোনদিন সামান্যতম সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। আব্বার অনেক ভাল বন্ধুর নাম উল্লেখ করতে পারলাম না বলে দুঃখিত। তাছাড়া রাজনীতি করতে গিয়েও অনেকের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়ে গেছিল। আমার পড়াশোনার সময় এবং পরবর্তীতে কত আবদার রক্ষা করেছেন। ক্রিকেট খেলা এবং খেলানো খুব পছন্দ করতাম। হবিগঞ্জ থেকে টিম নিয়ে শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া গিয়েছি। টাকা পয়সা যখন যা চেয়েছি পেয়েছি। প্লেজার ক্রিকেট ক্লাব যখন লীগে ভাল ফলাফল করত তখন তিনি খুব আবেগাপ্লুত হয়ে যেতেন। সবাইকে বাসায় নিয়ে মিষ্টি খাওয়াতেন। এমসিসি ক্রিকেট ক্লাব যখন প্রথম বাংলাদেশে আসে খুব সম্ভব ১৯৭৮/৭৯ তখন খেলা দেখতে চিটাগাং চলে গেছি। পাকিস্তান দল যখন প্রথমে ইমরান খানের নেতৃত্বে ঢাকায় খেলতে আসে তখন ৭শ’ টাকার টিকিট দিয়ে ভিআইপি বক্সে বসে খেলা দেখেছি। এসব বিষয়ে কোনদিন বাধা দেননি। এছাড়া ভাল কোন সংগঠনের সাথে জড়িত হলে সব ধরণের সহযোগিতা করতেন। তবে প্রায়ই আম্মার কাছে দুঃখ করতেন আমরা তার মত কর্মঠ হতে পারিনি। বাসায় বেড়া বাধার কাজ থেকে উঠান ঝাড়– দেওয়া, বাথরুম পরিস্কার করা সবকিছুই নিজে করতেন। নিজের জীবনের কঠিন সংগ্রামের কথা বলতেন। ১২৫ টাকা বেতনের কলেজের চাকুরী থেকে শুরু করে কিভাবে সফল ব্যবসায়ী হয়েছেন সব বলতেন। তিনি বলতেন আমার বর্তমানে অবস্থা দেখে তোমরা অতীতের কষ্টকর জীবনের কথা ভাবতেও পারবে না। ১৯৮৩ সনে যখন আমি জাপান যেতে চাই তিনি না করেননি। আবার যখন ৮৪ সনে ফিরে আসলাম তখনও কিছু বলেননি। কিন্তু পরে জেনেছি উনি সেই সময়টাতে চেয়েছিলেন আমি যেন ব্যবসায় মনোযোগী হই। কিন্তু জাপানের মত উন্নত দেশে গেলে হয়ত অনেক কিছু শিখতে ও জানতে পারব এজন্য তিনি বাধা দেননি। ১৯৮৩ সালে তিনি সদর উপজেলার বাতাস্বরে একটি অটো রাইস মিল প্রতিষ্ঠার কাজ হাতে নেন। উনার চিন্তা ছিল শিল্পায়ন না করতে পারলে কর্মসংস্থান বাড়ানো সম্ভব নয়। তাছাড়া এই মিলটি করার আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল এটির আয় দিয়ে শিক্ষা ও সমাজসেবার কাজগুলি আরও ভালভাবে করা। এই মিলটি ছিল বৃহত্তর সিলেট ও কুমিল্লার মধ্যে প্রথম অটোরাইস মিল। কিন্তু তার অকাল মৃত্যু সব সম্ভাবনাকেই নষ্ট করে দিল। উনার মৃত্যুর পর আমি পরবর্তী ১৬ বছর আপ্রাণ চেষ্টা করেছি প্রকল্পটিকে বাচিয়ে রাখার। কিন্তু এক পর্যায়ে সম্ভব হয়নি। এটার কষ্ট আমাকে এখনো তাড়িয়ে বেড়ায়। তবে আরেকটি স্বপ্ন আমি এখন পর্যন্ত ধরে রাখতে পেরেছি। খোয়াই পত্রিকা ছিল উনার স্বপ্নের ফসল। এরশাদ জামানায় এটির প্রকাশনার অনুমতির জন্য উনি আমাকে নিয়ে সচিব, মন্ত্রী প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত গিয়েছেন। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব আজিম উদ্দিন আহমেদের কাছে একদিন নিয়ে যান। আবেদনে তৎকালীন মন্ত্রী সিরাজুল হোসেন খানের সুপারিশ ছিল। স্বরাষ্ট্র সচিব আবেদনটি প্রক্রিয়া করে প্রেসিডেন্ট এরশাদের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন। আব্বা একদিন সেখানেও আমাকে নিয়ে যান। কিন্তু কাজ হয়নি। এজন্য তিনি খুব কষ্ট পেয়েছিলেন। ৯০ এর সেপ্টেম্বরে আব্বা মারা যান। আর ৯০ এর ডিসেম্বর এরশাদের পতন হয়। পরবর্তীতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের সময় প্রকাশনা সংক্রান্ত বাধা অপসারিত হলে ‘খোয়াই’ প্রকাশের অনুমতি পায়। প্রথমে ১৪ বছর সাপ্তাহিক ও পরে গত ১৫ বছর ধরে দৈনিক হিসাবে প্রকাশ অব্যাহত রেখে আব্বার স্বপ্নের সামান্য অংশ পূরণ করতে পারছি বলে কিছুটা তৃপ্তি পাচ্ছি। মৃত্যুর কিছুদিন আগে ইরাকের সাদ্দাম হোসেন কুয়েত আক্রমণ করলে আমার ছোট বোন চম্পা ওখানে স্বামী সন্তান নিয়ে আটকে পড়ে। কোন খবর পাচ্ছিলেন না। ছোট সন্তানের জন্য আব্বার কষ্টটা তখন দেখেছি। রাতে গুমড়ে গুমড়ে কাদতেন। উনার মৃত্যুর ১ সপ্তাহ পর ছোট বোন নিরাপদে দেশে ফেরত আসে। আব্বাকে শেষ বারের মতো দেখতে না পারার কষ্টটা আজও সে বয়ে বেড়াচ্ছে। আজ আমাদের ৪ ভাই বোনের সংসার কত বড় হয়েছে। নাতি-নাতনী ১০ জন। নাতিদের ঘরেও সন্তান এসেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তারা প্রতিষ্ঠিত। এসব দেখে হয়তো তিনি তৃপ্তি পাচ্ছেন। তার জন্য দোয়া করা ছাড়া সন্তানদের কিছু করার নেই। তার মত একজন সম্পূর্ণ মানুষ এখানকার সমাজে বিরল। মুড়ারবন্দের পবিত্র ভূমির হযরত বন্দেগী শাহ্ (রহঃ)-এর মাজারের সঙ্গেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। আল্লাহ যেন উনাকে বেহেশত নসীব করেন।

 

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *