মোঃ মামুন চৌধুরী/ জুয়েল চৌধুরী ॥ শায়েস্তাগঞ্জের বাসিন্দা রুবেল মিয়ার পত্রিকা বিক্রি করে দৈনিক আয় ৩০০ টাকা। বর্তমানে বাজারে সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। তাই এ টাকায় তাঁর পুরো পরিবার পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে। গতকাল তিনি ২৫ টাকায় ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ক্রয় করেন। এ হিসেবে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ খুচরাভাবে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পাইকারিভাবে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ২৩০ টাকায় ক্রয় করা যায়। দাম বাড়ায় অনেকের পক্ষে কাঁচা মরিচ ক্রয় করা কঠিন হয়ে পড়েছে। হোটেলগুলোতে কাঁচা মরিচ দেওয়া হচ্ছে না। কাঁচা মরিচ ছাড়াই সিঙ্গারা ও ডালপুরি খেতে হচ্ছে লোকজনকে।
শুধু কাঁচা মরিচ নয় দিন যত যাচ্ছে সবজির বাজার চড়া হচ্ছে। বাজারে গিয়ে খেটে খাওয়া মানুষসহ মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনকে রীতিমতো মাথায় হাত দিতে হচ্ছে। অন্যান্য বছর শীতের মৌসুমে সবজির দাম অনেকটা কম থাকলেও গতকাল শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্যতিক্রম।
জেলার হাট বাজারে প্রতি কেজি আলু ৫০ থেকে ৬০, বরবটি ৬০ থেকে ৮০, করলা ৮০ থেকে ১০০, শিম ১০০-১৫০, গাজর ৮০ থেকে ১৪০, টমেটো ১০০ থেকে ১২০, বেগুন ৮০ থেকে ১০০, জলপাই ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। এ ছাড়া পাতি লাউ ৮০ থেকে ১০০ টাকা পিস, মিষ্টি লাউয়েরও একই অবস্থা। সব ধরণের শাক প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৮৫, রসুন প্রতিকেজি ১০০ টাকা, প্রতিকেজি চাল ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শাক সবজির দাম বাড়ায় শুধুমাত্র পত্রিকা বিক্রেতা রুবেল মিয়া নয় নি¤œ আয়ের লোকেদের নাভিশ্বাস উঠছে।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ তমিজ উদ্দিন খান জানান, বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় শাক সবজির দাম বেড়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে কিছু দিনের মধ্যে শাক সবজির দাম কমতে শুরু করবে।