চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটে লালচান্দ গ্রামের খাল থেকে কিশোর সোহাগের মরদেহ উদ্ধারের একদিন পর তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সোহেলের বাবা হিরন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্যের ছেলেসহ তিনজনকে এতে আসামী করা হয়েছে।
অন্যদিকে ময়না তদন্ত শেষে গতকাল সোহাগের মরদেহের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রাজু মিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এছাড়া মামলার তদন্তে নিয়োজিত করা হয়েছে চুনারুঘাট থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আবু বক্করকে।
আসামীরা হলেন, শানখলা ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য আইয়ুব চানের ছেলে ফজলু মিয়া ও গ্রেফতার রাজু মিয়াসহ তিনজন। তারা সোহাগকে রাতের বেলা ডেকে নিয়ে হত্যার পর মরদেহ খালে ফেলে দিয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চম্পক ধাম দৈনিক খোয়াইকে বলেন, ইতোমধ্যেই বিমানবন্দর এবং ইমিগ্রেশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে, যেন আসামীরা পালাতে না পারে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত; খুঁজে বের করে এদেরকে আইনের মুখোমুখি করা হবে বলেও তিনি জানান।
গত শনিবার দুপুরে পুলিশ স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে লালচান্দ গ্রামের একটি খাল থেকে সোহাগ মিয়ার (১৭) মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের চোখ ও গলার নিচে আঘাতের চিহ্ন থাকায় পুলিশ সেদিনই ধারণা করেছিল এটি হত্যাকান্ড।